গং ইনট্রুমেন্ট

গং, একটি আইকনিক পারকাশন যন্ত্র, সারা বিশ্বের সঙ্গীতে পাওয়া যায়। এর উৎপত্তি পূর্ব এশীয় বলে মনে করা হয় এবং এর উৎপত্তি নিয়ে বহু শতাব্দী ধরে বিতর্ক হয়েছে। অনেক পণ্ডিত এটিকে চীনা বা জাপানি বলে মনে করেন এবং বিতর্ক এখনও অব্যাহত রয়েছে।

গং প্রাচীন কাল থেকেই সঙ্গীত ইতিহাসের একটি অংশ এবং এটি একটি আনুষ্ঠানিক যন্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং উভয় সংস্কৃতির ঐতিহ্যগত আচার-অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহৃত হয়। ইতিহাস জুড়ে এটি বিনোদনের উদ্দেশ্যেও ব্যবহৃত হয়েছে। চীন এবং জাপান উভয় দেশেই, ঐতিহ্যগত পারফরম্যান্সে প্রায়শই একটি গং ব্যবহার করা হয়, বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করা হয় যেমন আঘাত করা এবং ম্যালেট দিয়ে ঘষা।

কোথা থেকে এসেছে তার উপর নির্ভর করে গং এর নকশা পরিবর্তিত হতে পারে; চীনা নির্মাতাদের দ্বারা ঐতিহ্যগতভাবে তৈরি করা হয় সাধারণত গোলাকার যখন জাপানি সংস্করণ আকৃতিতে অষ্টভুজাকার হতে থাকে।

গং হল পারকাশন যন্ত্র যা বহু শতাব্দী ধরে বিশ্বের অনেক সংস্কৃতিতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এগুলি বিভিন্ন আকার এবং আকারে আসে এবং ব্রোঞ্জ, পিতল, লোহা বা কাঠের মতো বিভিন্ন উপকরণ থেকে তৈরি করা যেতে পারে। এই প্রবন্ধে আমরা তিনটি সাধারণ ধরনের গং - তাম-টামস, সাসপেন্ডেড গং এবং বসড গংগুলি দেখব - এবং তাদের মধ্যে স্বতন্ত্র পার্থক্যগুলি অন্বেষণ করব।

তাম-ট্যাম গংগুলি ঐতিহ্যগতভাবে ব্রোঞ্জ থেকে তৈরি এবং ম্যালেট দিয়ে আঘাত করলে একটি বিস্তৃত শব্দ উৎপন্ন হয়। এই ধরণের গং-এর উপর কোন কেন্দ্রীয় বসের অভাবের অর্থ হল যে এটিকে আঘাত করার ফলে সৃষ্ট কম্পনগুলি এর সমগ্র পৃষ্ঠ জুড়ে সমানভাবে ছড়িয়ে পড়ে যা অন্যান্য ধরণের গংগুলির তুলনায় দীর্ঘতর প্রতিধ্বনি তৈরি করে। এটি সঙ্গীত বা ফিল্ম স্কোর রচনায় বায়ুমণ্ডলীয় প্রভাব তৈরি করার জন্য তাদের আদর্শ করে তোলে।

গংগুলিকে তিনটি বিস্তৃত শ্রেণীতে বিভক্ত করা যেতে পারে, সিম্ফোনিক, গ্রহীয় এবং অন্যান্য, যাতে নির্দিষ্ট ধরণের গংগুলিকে শব্দ গঠন, শক্তিশালী স্বর, বায়ু এবং আরও কয়েকটি বিভাগে উপবিভক্ত করা যায়।